২০২৩ সালে বৃক্ষরোপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার এ ১ম স্থান অর্জন করেন উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী। গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ এমপি এর হাত থেকে পুরষ্কারটি গ্রহণ করেন উপক‚লীয় বন বিভাগ, নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব মোঃ ফরিদ মিঞা। পুরষ্কার গ্রহণের পর জনাব মোঃ ফরিদ মিঞা তার অনুভ‚তি প্রকাশে বলেন,২০১৭-১৮ অর্থবছরে চর আলাউদ্দিন রেঞ্জে ৯.০ কিমি. স্ট্রীপ বাগান সৃজনের জন্য আমরা বৃক্ষরোপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১ম পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছি। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। এর পাশাপাশি নোয়াখালীবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কারণ এ সৃজিত বাগান পরিচর্যা দেখভাল তারাই করেছে। সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের একরাম চৌধুরী কলেজের পূর্ব দিকে বেড়িবাঁধে এ বাগানটি সৃজন করা হয়। এখানে ৩০ প্রজাতির ৯ হাজার চারা রোপন করেছি। এ বাগানটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা উপক‚লীয় বেষ্টনী ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করবে। আবার এর ফলে সেখানে বসবাসকারী ৪৫টি পরিবার এর থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সর্বোপরি বাগানটি বৈচিত্র্যময় হওয়ায় এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা বৃক্ষ সম্পর্কে ধারণা লাভে সক্ষম হবে। তিনি আরো বলেন ১৯৯১ এর ২৯ এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ে যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সেটা কিন্তু এখন আর হচ্ছে না। এর কারণ উপক‚লীয় অঞ্চলগুলোতে বন বিভাগ পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ দিয়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুেলছে। উষ্ণতা প্রতিরোধে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি উপক‚লীয় অঞ্চলে বসবাসকারী লাখো জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নেও সৃজিত বাগানের বৃক্ষ ভ‚মিকা রাখছে।
জনাব মোঃ ফরিদ মিঞা আরো জানান উপক‚লীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী নতুন জেগে ওঠা চরে মোট ৪ কোটি গাছ লাগিয়েছে। বিভিন্ন টাইপ যেমন, স্ট্রীপ বাগান,বাঁধ বাগান,খালপাড় বাগান,ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করা হয়েছে। নোয়াখালীতে সৃজিত এই ৪ কোটি চারাকে যদি আমরা এস্টাবলিশড করতে পারি জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায একটি বিশাল ভ‚মিকা রাখবে। একটি জরিপে দেখা গেছে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলার জন্য যে সব প্রিভেনটিভ পদ্ধতি চালু আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে সস্তা হচ্ছে গাছ লাগানো। গাছ লাগিয়ে যদি আমরা একটি ভেজিটেশন কাভার করতে পারি তাহলে যে পরিমান অক্সিজেন আমরা পাবো ঠিক সে পরিমান কার্বনডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে পারবো। যদি আমরা গাছ সৃষ্টি করতে না পারি, ভেজিটেশন কাভার যদি দিতে না পারি তাহলে বায়ুমন্ডলে কার্বনডাই-অক্সইডের পরিমান বাড়বে। আর এতে গ্রীণ হাউজ এ্যাফেক্ট হবে। এই জন্য উন্নত বিশ্বে একটা নিয়ম আছে কেউ যদি ইন্ডাস্ট্রি করে তাহলে কী পরিমান কার্বন নিঃসরণ হয় সে অনুযায়ী তাকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়। এরপরেও তাদের নিঃসৃত কার্বনে এ্যাফেক্টেড হচ্ছি আমরা। আমরা কিন্তু কম কার্বন নিঃসরণ করার পরেও সমুদ্রের নিকটবর্তী দেশ হওযায় আমাদের ভ‚াম স্তর নীচু থাকার কারণে আমরা ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছি বেশি। কিন্তু উন্নত বিশ্বরা হচ্ছে কম। এ জন্যই আমাদের বেচে থাকার জন্য অধিক পরিমাণে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই এবং আমাদের যতটুকু সুবজের আচ্ছাদন আছে এগুলোকে কীভাবে রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস